প্রকাশিত: Tue, Jan 17, 2023 1:32 PM
আপডেট: Sun, Jun 8, 2025 3:50 AM

তন্ত্র-মন্ত্রের নামে বাঙালিকে ধোকা!

রবিউল আলম

উন্নয়নতন্ত্রে বাংলার মূলমন্ত্র হতে পারে। স্বাধীনতাকামী জনতার ঐক্যের মানচিত্রে, মুক্ত বাংলাদেশ। মুক্তির আনন্দ ছিলো, প্রতীক ছিলো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ষড়যন্ত্রের ঐক্য বিনষ্টের প্রতীক ছিলো বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র। পাগলতন্ত্রও বলতে পারেন! বঙ্গবন্ধুকে হারানো পরেও এই পাগলতন্ত্র থেকে বাঙালি জাতি মুক্ত হতে পারেনি। বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের আবিষ্কার গুজব ও মিথ্যাচার। গণতন্ত্রে জায়গা না হওয়ায় পাগলতন্ত্রে ভর করেছে। কিছু পাগল নেতা ও রাজনৈতিক দল সেই মন্ত্রকে পুঁজি  করে, দেশ-জাতিকে বিপথগামী করছে, গণতন্ত্রের নামে। গণতান্ত্রিক হওয়ার আকাক্সক্ষা থেকে সোভিয়েত ইউনিয়ন টুকরো টুকরো হয়েছে। চীনে গণতন্ত্রের ঝড় উঠে ছিলো। অর্থনৈতিক শক্তি অর্জনের বড় বাধা মনে করে শক্ত হাতে দমন করেছে। সমাজতন্ত্রকে ইচ্ছাতন্ত্র বলা হলেও চীন, তা থেকে জনগণকে সঠিক পথের সন্ধান দিয়েছে নেতৃত্বের গুণে। গণতন্ত্র  অস্বীকার করছি না। গণতন্ত্রের অর্থ বুঝতে, বুঝাতে না পারলে পাগলতন্ত্র হয়ে পড়ে। বাকশালের মতো মানবসেবা ও রাষ্ট্র গঠনের মহাতন্ত্র পাগলদের কাছে, গালিতে পরিণত এখনো।  আমেরিকা, পাকিস্তানের মানবাধিকার ও গণতন্ত্র দেখে না, বাংলাদেশে উপদেশ ছড়ায়। সমাজতন্ত্রের মহাজ্ঞান মানবসেবার জন্য। ভুল ব্যাক্সক্ষা বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র। বিশ্ব দুইভাগে, মত আর দ্বিমতের, 

গণতন্ত্র আর সমাজতন্ত্রের, মানবসভ্যতার বিচরণ ক্ষেত্র। রাজতন্ত্রের যবনিকার পাথর থেকে মুক্তির বাহক। পায় ধরে, ক্ষমা চেয়ে ভোট নিয়ে কোনো তন্ত্রের স্থায়িত্ব হবে না। জাতিকে প্রস্তুত করতে না পারলে। পাগলের সংখ্যা কমাতে না পারলে। সমাজতন্ত্র ও গণতন্ত্রে বন্দী রাজতন্ত্রের জনগণকে দিয়ে হবে না। তাদের মাঝে পাগলতন্ত্র আছে। বন্দী জীবনের হতাশা আছে, না পাওয়ার যন্ত্রণা আছে। কৃতদাস থেকে পরিবর্তনের এলার্জি আছে। ভালোমন্দ বিচারের বিশ্বাসের সক্ষমতা নেই। মানুষগুলো বন্দী জীবনের অবসান হলেও নিজস্ব চিন্তাচেতনা বুদ্ধিমত্তার পরিচয় বহন করে না। নয় মাসের স্বাধীনতা, সারে তিন বছরে নেতৃত্বহীন বাঙালিকে গণতন্ত্রের অর্থ বুঝাতে পারিনি, পারিনি পাকিস্তান প্রেম থেকে মুক্ত করতে। স্বাধীনতার সুফল ভোগে ব্যর্থ হওয়ায় শেখ হাসিনার উন্নয়নে সন্দেহ পোষণ করছে। মোটা চাল, মোটা কাপরের বাঙালি তেল-নুনের হিসাব করে। মেগা প্রকল্পের দীর্ঘস্থায়ী সুখী বাংলাদেশ দেখেও ভয় পায়, সেবার জন্য ট্যাক্স দেওয়ার ভয়ে। আলহাজ্ব মো. সাদেক খান এমপি বলতেন, যেই দেশের মানুষ খেতের উপর দিয়ে হাঁটে, তাদের মেট্রোরেল আর পদ্মা সেতুর মর্মকথা ও গণতন্ত্র বোঝাতে সময় লাগবে। অনেকের মুখে শুনতে হয়, খালেদা জিয়াকে ভোট দিয়েছিলো সুন্দরী হওয়ার কারণে। হায়রে গণতন্ত্র, তোর জন্য কী এতো রক্ত দিয়েছিলাম? লেখক: মহাসচিব, বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি